অত্যাধুনিক গণ-শৌচাগার নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার আবশ্যিক বেষ্টনীর উপাদান

ঢাকা, বুধবার, ০১ জুলাই ২০২০ (নিজস্ব প্রতিনিধি): চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশনের মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দৈনন্দিন প্রয়োজনে নগরীতে বসবাসরত ও বহিরাগতদের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা সম্বলিত আধুনিক গণ- শৌচাগার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিচর্যা একটি আবশ্যকীয় উপাদান। এই খাতে সরকার ও চসিকের বরাদ্দের চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন সু-সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোন ব্যত্যয় ঘটবে না এবং কোন ধরনের অনিয়মও সহ্য করা হবে না। তিনি আজ নগরীর মোহরাস্থ কাপ্তাই রাস্তার মাথা এবং ২নং গেইটস্থ শেখ ফরিদ মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনেরর উদ্যোগে নির্মিত দুটি আধুনিক গণ শৌচাগারের উদ্বোধনকালে একথাগুলো বলেছেন। নির্মিত এই শৌচাগার দুটিতে সুপেয় পানির ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়াও গোসল সহ স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণও সংযোজন থাকছে। মোহরা এলাকায় গণ শৌচাগার নির্মাণে ৫৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৪ টাকা ও শেখ ফরিদ মার্কেট এলাকার পাবলিক টয়লেট ও গণ শৌচাগার নির্মাণে ৪১ লাখ ৫ হাজার ৫৫৭ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। গণ-শৌচাগার দু’টিতে নিরাপত্তার জন্য লকার রুম ছাড়াও ৫ টাকার বিনিময়ে টয়লেট, ১০ টাকার বিনিময়ে গোসল, ৫ টাকার বিনিময়ে লকার রুম ব্যবহার এবং ১ টাকার বিনিময়ে সুপেয় নিরাপদ পানি পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে প্রতিবন্ধী, শিশু, নারী ও পুরুষদের পৃথক পৃথকভাবে টয়লেট ব্যবহারের ব্যবস্থাও রয়েছে। উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরায়নের ফলে গ্রামসহ বিভিন্ন প্রান্তের কর্মমুখি মানুষকে প্রয়োজনের তাগিদে শহরে আসতে হয়। এসময় কর্মমুখি এসকল মানুষদের শৌচকর্মের প্রয়োজনে বিভিন্নভাবে বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষভাবে নারীসমাজ এ ক্ষেত্রে সবচাইতে বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়েন। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে পাবলিক টয়লেট নির্মাণকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। মেয়র সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শহরের ভাসমান প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের জন্য টয়লেট, গোসল ও সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ মানুষ তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে শহরে আসেন। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে চসিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাম গণ শৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, ডিএসকে’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরেফাতুল জান্নাত, রাজনীতিক হাজী বেলাল আহমেদ, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, আনোয়ার মির্জা, হাসান মুরাদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, নঈম উদ্দিন খান, ডিএসকে’র প্রকল্প কর্মকর্তা উজ্জ্বল সিকদার, প্রকৌশলী মাহমুদুল সায়েম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।