মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনায় স্বস্ত্রীক ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৫ জন শ্রীঘরে

না পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহআলম হাওলাদার (৬৫) কে পিটিয়ে বাম হাত ও
দু’পা ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনায় টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, যুবলীগ
নেতা মো. মশিউর রহমান শিমু (৩৫), তার ২য় স্ত্রী মোসা: খাদিজা আক্তার
এলিজা (৪৫), সহযোগী মো. নেছারউদ্দিন হাওলাদার (৩৫) মো. ইমরান গাজী (৩০) ও
মো. নাঈম (৩০) কে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০নভেম্বর) বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন
শাহরিয়ার’র আদালত আসামী পক্ষের নিযুক্তীয় কৌশুলীর জামিন আবেদন ও মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তার ৭দিনের রিমান্ড আবেদন ৬ডিসেম্বর শুনানীর দিন ধার্য
রেখে এ আদেশ প্রদান করেন। আদালতের জিআরও মুনসুর আলম এ আদেশের সত্যতা
নিশ্চিত করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. শওকত জাহান জানান,
মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম হাওলাদারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে
চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু। রবিবার বিকেলে পুনরায় চাঁদা দাবী করলে তিনি
তা দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম হাওলাদার এর
ইট-ভাটার অফিস কক্ষে ঢুকে চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমুর নেতৃত্বে একদল
সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে বাম হাত ও দু’পা ভেঙ্গে গুরুতর
জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন। এ ঘটনায়
মুক্তিযোদ্ধা শাহআলমের স্ত্রী মোসা.আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী
করে রবিবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চেয়ারম্যান’র ২য়
স্ত্রী মোসা: খাদিজা আক্তার এলিজাকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে।
চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কেরামত আলী হাওলাদার জানান,
চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা শাহআলমের কাছে
চাঁদা দাবী করে আসছে । না পেয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে।
মুক্তিযোদ্ধাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়ার চেষ্টা
করলে সন্ত্রাসীরা এতে বাঁধা দেয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে মশিউর রহমান শিমুর সমর্থকদের একটি দল তার
মুক্তির দাবীতে পৌরশহরে মিছিল করেছে। মিছিলকারীরা শিমু মীরা আটক কেন
প্রশাসন জবাব চাই বলে শ্লোগান দেয় ।